
SADAR,BARISAL. EIIN : 100857
প্রাথমিক কথা:
প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। ইসলামি, শিক্ষা সংস্কৃতি আর ওলি আউলিয়াদের লালনভূমি বাংলার ভেনিস খ্যাত দক্ষিণাঞ্চলের তিলোত্তমা নগরি বিভাগীয় সদর বরিশাল। এই ভ‚মিকে ইসলামি শিক্ষার আলোকে আলোকময় করেছেন মরহুম হযরত মাওলানা নেছার উদ্দিন আহমাদ (রহ:), মরহুম হযরত মাওলানা এছহাক (রহ:) এবং মরহুম আল্লামা আযিযুর রহমান নেছারাবাদী (কায়েদ ছাহেব হুজুর রহ:)। আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি ইসলামি শিক্ষার সমৃদ্ধি, জ্ঞান বিজ্ঞান আর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নে নারী শিক্ষার অগ্রগতির লক্ষ্যে স্থানীয় জনগনের চাহিদা মোতাবেক এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উদ্দেগে বরিশাল শহরে মেয়েদের প্রথম দ্বীনি শিক্ষালয় হিসেবে ১৯৯৩
সনে কাউনিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয় প্রতিষ্ঠাতা আধ্যক্ষ হিসেবে মাওলানা মোহাম্মদ আমির হোসেন তালুকদার অক্লান্ত পরিশ্রম, ত্যাগ এবং সুদক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে মক্তব পর্যায় থেকে বর্তমান আলিম মডেল মাদরাসা হিসেবে উন্নীত হয়ে অসামান্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন, যা চিরদিন অ¤øান হয়ে থাকবে।
অবস্থান :
মাদরাসাটি বরিশাল বিভাগীয় শহরের প্রাণকেন্দ্র ও সিটি কর্পোরেশনের ২নং ওয়ার্ড কাউনিয়া প্রধান সড়ক সংলগ্ন (আমিন বাড়ি) শান্ত, সুনিবীড়, মনোরম, নিরাপদ ও কোলাহলমুক্ত পরিবেশে অবস্থিত।
১৯৯৭ইং সন থেকে দাখিল বোর্ড পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের মাধ্যমে নবযাত্রা শুরু করে মাদরাসাটি এবং সাফল্যের ধারা বাহিকতায় ২০০২ইং সনে দাখিল স্তর প্রথম এমপিওভ‚ক্ত হয়। ২০০৪ইং সনে দাখিল বিজ্ঞান ও কম্পিউটার শাখা চালু হয়। ২০১০ইং সনে আলিম শ্রেণি (ঐঝঈ) খোলা হয়, আর বিগত ৫ম, ৮ম, দাখিল ও আলিম পাবলিক পরীক্ষায় রয়েছে মাদরাসাটি শতভাগ পাশের গৌরবোজ্জল সাফল্য অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ধর্মীয় শিক্ষার স্বকীয়তা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাকে সামনে রেখে ২০১৩ সালে নত‚ন সংযোজন হয়েছে বাংলাদেশ নুরাণী তালিমুল কুরআন বোর্ডের ‘‘নূরানী কিন্ডার গার্টেন শাখা’’। যেখানে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দ্বীনি এবং আধুনিক শিক্ষার অপূর্ব সমন্বয়ে হাতে কলমে ভবিষ্যৎ সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা হয়। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ২০১০ থেকে ৫ম ও ৮ম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষা চালু হয়ে আসছে।
মডেল মাদরাসা হিসেবে নির্বাচন :
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুনগত মান এবং কাংখিত ফলাফলের ভিত্তিতে সার্বিক বিচার,বিশ্লেষন ও পর্যালোচনায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০০৮ইং সনে সমগ্র বাংলাদেশের ৩৩টি মাদরাসাকে মডেল র্মারাসা হিসেবে নির্বাচন করেন। যার মধ্যে কাউনিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসাটি বরিশাল জেলার একমাত্র ‘‘মডেল’’ মাদরাসা হিসেবে নির্বাচিত হয়।
মাদরাসা শিক্ষা সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক বলেন-‘‘পড় তোমার রবের নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন’’। মুসলমানদের চিরস্থায়ী আবাসস্থল জান্নাত। ক্ষণিকের জন্য আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তার নির্দেশ পালন করার জন্য, যাতে আমরা জান্নাত অসিম সুখ শান্তিতে থাকতে পারি। মহানবী (সঃ) বলেন-মানুেষর মৃত্যুর পর সকল আমলের দরজা বন্ধ হয়ে যায় শুধুমাত্র ৩টি আমলের ছওয়াব সর্বদা অব্যাহত থাকে ঃ (১)সদকায়ে জারিয়া,(২) এমন ইলেম বা জ্ঞান যা দ্বারা মানুষ উপকৃত হয়,(৩) নেককার সন্তান যে তার মৃত্যুর পরে দোয়া করে, যার সওয়াব কিয়ামত পর্যন্ত পাওয়া যায়। মহানবী (সঃ) আরো ইরশাদ করেন-‘‘যে ব্যক্তি কন্যা সন্তানকে আন্তরিকতার সাথে প্রতিপালন করবে, শিষ্টাচার শেখাবে, তাদের প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ করবে, ভালবাসবে এবং মহান আল্লাহর পথে পরিচালিত করবে তার জন্য বেহেস্ত অবধারিত’’।
তাই আমাদের দাওয়াত, এই নেক সন্তান ছেলে/মেয়ে উভয়ই হতে পারে। নেক সন্তান হলে আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা, হালাল হারাম জানা ও মানা এবং মহান আল্লাহর নিকট পরিপূর্ণ আত্মসমর্পন করা। এমন সন্তান তৈরির জন্য প্রয়োজন মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিত করা। আশার কথা হলো বর্তমানে মাদ্রাসায় লেখা পড়া করে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিভিন্ন বিষয়ে বিসিএস ক্যাডার,ূ মোফাসসির,মোহাদ্দিস, মুফতি,ক্বরীসহ উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে দেশে বিদেশে উচ্চপদে মর্যাদা লাভসহ পরকালীন জান্নাত লাভ করা যায়। সেহেতু আপনার প্রিয় সন্তানটিকে মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিত করুন। আদর্শবার মা বাবা হিসেবি গড়ে তুলুন। আমীন!
লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য :
কুরআন সুন্নাহ্ এবং ইসলামি শরীয়াহ্ অনুযায়ী আধুনিক শিক্ষা কারিকুলাম, সরকারি নীতিমালা ও সুনিবিড় তত্ত¡াবধানে শিক্ষার্থীদের আদর্শবান নাগরিক, সুযোগ্য আলেমে দ্বীন এবং মননশীল ব্যক্তি গঠনের মাধ্যমে দৈহিক, মানষিক, বুদ্ধিবৃত্তিক সামাজিক, ধর্মীয় ও নৈতিক গুনাবলির সুষ্ঠু বিকাশ সাধন করে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনই এ মাদরাসার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য।